গরুর গলা ফুলা রোগের- চিকিৎসা ও প্রতিকার
আপনি কি আপনার খামারের গরুর গলাফুলা রোগ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এবং গরুর গলা ফুলা রোগ সম্পর্কে আপনি সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য। এ পোস্টে কিভাবে আপনি আপনার গরুর গলা ফুলা রোগের - চিকিৎসা ও প্রতিকার করবেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এ আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করেছি গরুর গলা ফুলা রোগকে কিভাবে প্রতিরোধ করবেন। এছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকে আলোচনা করা হয়েছে । সেগুলো জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার রিকোয়েস্ট রইল।
সূচিপত্রঃগরুর গলা ফুলা রোগের- চিকিৎসা ও প্রতিকার
.
ভূমিকা
গরুর গলা ফুলা আমাদের দেশে একটি মারাত্মক রোগের নাম। প্রতিবছর এ রোগের শিকার হয়ে আমাদের দেশে হাজার হাজার গরু মারা যাচ্ছে। গলা ফুলা রোগ সাধারণত এশিয়া মহাদেশ, ইউরোপ মহাদেশ, আফ্রিকা, ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দেখা যায়। এই গলা ফুলা রোগ সাধারণত গরু , ছাগল , মহিষ , উট , হাতি এমনকি বানর কেউ সংক্রমণ করে। এই রোগ বছরের সব সময় দেখা গেলেও সাধারণত বর্ষার শুরুতে এদের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাই।
আবার অনেক সময় গবাদি পশু অনুকূল পরিবেশ থেকে যখন প্রতিকূল পরিবেশে যায় এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়াতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তখন সাধারণত এ রোগ বেশি দেখা দেয় ।অর্থাৎ প্রতিকূল পরিবেশে এই রোগের জীবাণু সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে এবং গবাদি পশু আক্রান্ত হয়।
এ রোগের ফলে গবাদি পশুর অ্যানটিবডি বিনিষ্ঠ হয়ে প্রোটিন ভেঙ্গে রক্তের প্রোটিনের পরিমাণ হ্রাস পায় ফলে অ্যাডামাস সৃষ্টি হয়। আর এই কারণে গবাদি পশুর গলা ফুলে যায় এবং রক্তের জীবাণু উপস্থিতিতে পশুর মৃত্যু ঘটে।
গরুর গলা ফুলে যায় কেন
গরুর গলা ফুলা রোগ একটি ভয়ঙ্কর রোগ । এ রোগটি সাধারণত ভাইরাস জনিত রোগ। এটি গরুকে আক্রমণ করার পাশাপাশি মহিষ ভেড়া ও অন্যান্য গবাদি পশুকে আক্রমণ করে। এই রোগটি এক এক স্থানে এক এক নামে পরিচিত।গরুর গলা ফুলা রোগ টি পাস্তরেলা মাল্টোসিডা (Pasteurella maltosida) নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণের ফলে হয়ে থাকে।
যদিও এই জীবাণু গরুর দেহে প্রায় সবসময় থাকে। তবে কিছু কিছু সময় এই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায় এবং যার কারণে সর্দি ও জ্বর হয় এবং পরে তা গলা ফুলা রোগে রূপান্তরিত হয়।
গরুর গলা ফুলে গেলে করণীয় কি
গরুর গলা ফুলা রোগ এক এক জায়গায় একেক নামে পরিচিত । গরুর গলা ফুলা রোগ কিছু আঞ্চলিক নাম নিচে দেওয়া হল।যেমনঃ টুটি ফোলা , ব্যাঙ্গা , ঘটু , গলবেরা ইত্যাদি নামে পরিচিত। আমাদের দেশে এখনো অনেক জায়গায় গলা ফুলা রোগের প্রতিষেধক হিসাবে প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে একটি হলঃ কাপড়ে গরম বালু বেঁধে গরুর গলায় সেত দেওয়া।
তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে ভালো ফল পাওয়া যায় না। যেহেতু গরুর গলা ফুলা রোগটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ তাই এই রোগের চিকিৎসায় ওষুধের তুলনায় নিয়ম মেনে চলা বেশি কার্যকর ।নিম্নে কিছু নিয়ম ও ওষুধের কথা আলোচনা করা হলো ঃ
- গরুর গলা ফোলা রোগে আক্রান্ত গরুকে অবশ্যই সেট থেকে আলাদা করতে হবে। এবং অন্যান্য গরুকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন বা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
- আপনার অঞ্চলে এ রোগ দেখা দিলে অবশ্যই আপনার গরুকে বাইরে চলাচল থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- গরুর গলা ফুলা রোগ যেহেতু বর্ষাকালের শুরুতে এবং শেষে বেশি দেখা যায় তাই বর্ষাকালে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- গরুকে নির্দিষ্ট সময় মত অবশ্যই কৃমিনাশক ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
- আপনার গরু গলা ফুলা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে।
গরুর গলা ফুলা রোগ কি
গরুর গলা ফুলা রোগটি এক ধরনের ভাইরাস জনিত রোগ।এই রোগ সাধারণত বছরের প্রায় সব সময় হয়ে থাকে। এই রোগটি হওয়ার প্রধান কারণ হলো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়া। যেমন(Pasteurella multocida , Hemorrhagic Septicemia) নামক ব্যাকটেরিয়া। এছাড়াও অত্যাধিক খাটুনি , জ্বর , সর্দি , ভ্রমণ জনিত দুর্বলতা, ইত্যাদি কারণে গরুর গলা ফুলা রোগ হয়ে থাকে। গরুর গলা ফুলা রোগ সাধারণত ৩ ভাগে ভাগ করা যায় ।
- সাধারণ
- তীব্র
- অতি তীব্র
গরুর গলা ফুলা রোগ যদি সাধারণ গলা ফুলা রোগ হয় তাহলে এই রোগটি কেবলমাত্র গরুর গলা ফুলে যাবে।এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা করলে গরু বেঁচে যাবে।
আর যদি গরুর গলা ফুলা রোগ তীব্র হয় । তাহলে গরুর গলা ফুলা রোগের লক্ষণ প্রকাশের 48 ঘন্টা সময়ের মধ্যে গরু মারা যাবে। এবং অতি তীব্র হলে লক্ষণ প্রকাশের মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা না হলে গরু মারা যাবে। এই রোগটি প্রাণঘাতী রোগ তাই এই রোগের প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধ করাই অনেক ভালো।
গরুর গলা ফুলা রোগের কারণ
গরুর গলা ফুলা রোগ একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ।এই রোগটি পাস্তরেলা মালটোসিডা(Pasteurella multocida)নামক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। পুরো বিশ্বে গরুর গলা ফুলা রোগের প্রভাব রয়েছে। এই রোগটি সাধারণত অধিক পরিমাণে কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হলে , অপুষ্টিতে ভোগলে , রক্তশূন্যতা , ও অন্যান্য দুর্বলতার কারণে তীব্র আকার ধারণ করে ।
এছাড়াও গরুর উপর অত্যধিক পেশার ও ধকল গেলে যেমন আবহাওয়ার পরিবর্তন , জ্বর , সর্দি প্রতিকূল পরিবেশ ইত্যাদি কারণে এই রোগ দেখা যায়। বিশেষ করে বর্ষাকালে শুরুর দিকে ও শেষের দিকে এ রোগের প্রভাব বেড়ে যায়।
গরুর গলা ফুলা রোগের লক্ষণসমূহ
গরুর গলা ফুলা রোগ প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। তীব্র সংক্রমণ ও অতি তীব্র সংক্রমণ নিচে এদের লক্ষণ দেওয়া হলঃ
- গরুর গলা ফুলা রোগের তীব্র সংক্রমণের লক্ষণ।
- তীব্র প্রকৃতির সংক্রমণ হলে গরু ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
- এই রোগে গরুর চোয়াল ফুলে যায় এবং অনেক সময় এডিমা দেখা যায়।
- ফুলা অংশে ব্যথা থাকে।
- ফোলা অংশ শক্ত আবের মত হয়ে থাকে বা ফুলা অংশ শক্ত হয়।
- ফুলা অংশে সুচ দিয়ে ছিদ্র করলে এক ধরনের তরল হলুদ বর্ণের পদার্থ বের হতে দেখা যায় ।
- গরুর গলা ফুলা রোগের লক্ষণ প্রকাশ করার দুই দিনের মধ্যে গরু মৃত্যুবরণ করে।
- গরুর গলা ফুলা রোগের অতি তীব্র সংক্রমণের লক্ষণ।
- গরুর প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর আসে। এবং শরীরের তাপমাত্রা প্রায় ১০৬ থেকে ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়।
- আক্রান্ত গরুর নাক মুখ দিয়ে প্রচন্ড পরিমাণে তরল শ্লেষ্মা বের হয়।
- গরুর মধ্যে খাবারের অরুচি দেখা দেয়। এবং অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
- গরুর গলা ফুলা রোগের লক্ষণ প্রকাশের মাত্র ২০ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আক্রান্ত গরু মারা যায়।
গরুর গলা ফুলা রোগের প্রাদুর্ভাব
বছরের প্রায় সব সময় এই রোগ দেখা যায় তবে এ রোগের প্রভাব বেশি হয় যখন আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আবার প্রচন্ড শীত ও প্রচন্ড গরমে এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই রোগটি আমাদের দেশ সহ পুরো এশিয়া মহাদেশে ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করেছে। এশিয়া মহাদেশ এর প্রায় সব দেশেই এ রোগের কারণে প্রতিবছর লাখ লাখ গবাদি পশু মারা যাচ্ছে।
এই রোগের জীবাণু গরুর শরীরে আগে থেকে বিদ্যমান থাকলেও বিভিন্ন দুর্বলতার কারণে মারাত্মক আকার ধারণ করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলে( কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হলে, ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে, প্রচন্ড শীত লাগলে, অধিক পরিমাণে সর্দি লাগলে) এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।তবে বর্ষাকালের শুরুতে ও শেষে তুলনামূলক গরুর গলা ফুলা রোগ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে।
গরুর গলা ফুলা রোগের বিস্তার
গরুর গলা ফুলা রোগ প্রায় সব বয়সের গরুতে হয়ে থাকে। তবে এই রোগ বেশি সংক্রমণ করে যেসব গরুর বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস। অর্থাৎ বাড়ন্ত বয়স। বাড়ন্ত বয়সের গরুর এ রোগের প্রভাবএবং মৃত্যুর হার বেশি হয়। এ রোগ বন্যা কবলিত এলাকায় বেশি দেখা যায়।
গরুর গলা ফুলা রোগ প্রতিরোধের উপায়
যেহেতু গরুর গলা ফুলা রোগ ভাইরাস জনিত তাই এ রোগ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকা প্রায় অসম্ভব ।কারণ গলা ফুলা রোগের জীবাণু সুস্থ গরুর মধ্যে বিদ্যমান থাকে। তবে এ রোগ থেকে মুক্তির জন্য কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তাহলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। গরু গলাফুলা রোগে আক্রান্ত হলে খামারের অন্যান্য গরু থেকে আলাদা করতে হবে।এবং খামারের অন্যান্য গরুকে গলা ফোলা রোগের টিকা দিতে হবে।
আপনার অঞ্চলে এ রোগ দেখা দিলে অবশ্যই আপনার গরু গুলোর বাইরে চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ও বর্ষাকালে গরুর পর্যাপ্ত পরিচর্যার ব্যবস্থা করতে হবে। গরুকে অত্যাধিক খাটুনি করা যাবে না। অবশ্যই গরুকে ক্রিমিনাল আসুক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত প্রয়োগের মাধ্যমে গরুর গলা ফলা রোগ কে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
গরুর গলা ফুলা রোগের ভ্যাকসিন
বাংলাদেশ ভেটেনারি এল. আই কর্তৃপক্ষ গরুর গলা ফুলা রোগের টিকা ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। যা বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে পাওয়া যায় ।গরুর গলা ফুলা রোগের ভ্যাকসিন প্রধানত দুই প্রকার হয়। যথা(Oil Adjuvant) ভ্যাকসিন ও(Alum Precipitated )। দুই ভ্যাকসিন এর মধ্যে এলাম পারসেপিটেড ভ্যাকসিন এর দাম খুবই কম। নিচে এই দুই ভ্যাকসিন এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
ওয়েল অ্যাডভেন্ট ভ্যাকসিন (Oil Adjuvant)এর ব্যবহার
অয়েল এ্যাডজুভেন্ট ভ্যাকসিন বা টিকা তেল থেকে তৈরি তাই এটিকে সাবধানতার সাথে গরুর মাংসে প্রয়োগ করতে হবে। তবে এটি এলাম অধঃপতিত ভাবে মাংসের প্রয়োগ করাই ভালো ।
- সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক গরুকে ২ মি.লি মাত্রায় দিতে হবে।
- এবং ৮ থেকে ১৬ মাস বয়সের গরুকে ১ মি.লি মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
- অবশ্যই এই ভ্যাকসিন চামড়ার নিচে দিতে হবে।
- এই ভ্যাকসিনের দাম তুলনামূলক অনেক কম।।
গরুর গলা ফুলা রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা ও করণীয়
গবাদি পশু এ রোগে আক্রান্ত হলে যত দ্রুত সম্ভব গরুর চিকিৎসা করতে হবে। কারণ এই রোগের চিকিৎসায় কোন ত্রুটি বা ভুল হলে এর সুফল পাওয়া যাবে না। সুতরাং গরুর গলা ফুলা রোগের লক্ষণ প্রকাশের সাথে সাথে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। গরুর গলা ফোলা রোগে বেশ কিছু ওষুধ অধিক কার্যকর হয়ে থাকে যেমনঃ পেনিসিলিন , ক্লোরামফেনিকল , অক্সিটেট্রাসাইক্লিন , সালফাডিমিডিন ইত্যাদি ।
গরুর গলা ফুলা রোগ একটি ভয়ংকর ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। আমাদের দেশের প্রায় 40% গরু এ রোগে মারা যায়। তাই আমাদের এ রোগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহ নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হবে। এছাড়াও গরুর প্রতি নজরদারি রাখতে হবে যাতে গরু দুর্বল না হয়ে পড়ে। এবং আশেপাশের এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তাহলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
গরুর গলা ফুলা রোগ সম্পর্কে লেখকের মতামত
অবশ্যই গরুর গলা ফুলা রোগ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। তাই আমাদের এ রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। যেহেতু এটি ভাইরাস জনিত রোগ তাই এই রোগের প্রতিষেধক এর চেয়ে প্রতিরোধই গড়ে তোলা উত্তম। কারণ এ রোগে আমাদের দেশের প্রায় 40% গরু মারা যায়। যার কারণে আমাদের অর্থনীতিতে মন্দা অবস্থার সৃষ্টি হয়।তাই এ রোগ থেকে মুক্তির জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সলভ্ এ টু জেড এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url