হাম রোগের কারণ, লক্ষণ, কার্যকরী ঔষধ, ও ঘরোয়া চিকিৎসা
আপনি কী আপনার হাম রোগে আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ? এবং এই রোগের কার্যকারী ঔষধ কি এবং ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। হাম রোগের প্রতিকারের জন্য আজকের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আজকের আর্টিকেলে হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও হাম রোগের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা-, হাম রোগের ঔষধ ছাড়াও এই আর্টিকেলে হাম রোগের কারণ, হাম রোগ কেন হয় , হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা , হাম রোগের প্রতিকার ও হাম রোগের প্রতিরোধ সহ আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি হাম রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, বা উপরোক্ত টপিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃহাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা-, হাম রোগের ঔষধ
.
ভূমিকা
গ্রীষ্মকালে একটি বড় সমস্যা বা রোগের নাম হল হাম। হাম এক ধরনের ভাইরাস এর সংক্রমণ জনিত রোগ।এ রোগে সাধারণত শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।এ রোগ সাধারণত ৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের হয়ে থাকে। এছাড়াও যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত কম, তাদের এ রোগ আক্রান্ত করে থাকে।
সাধারণত গর্ভবতী মহিলারা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ তাদের RH এন্টিজেন গুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। এ কারণে গর্ভবতী মহিলারা বিভিন্ন সমস্যা বা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। হাম ভাইরাসের সংক্রমণ জনিত রোগ হওয়ার পাশাপাশি ছোঁয়াচে।হাম রোগ বিস্তারের অন্যতম মাধ্যম গুলো হলো হাঁচি, কাশি, ও পরস্পরের সংস্পর্শে আশা ইত্যাদি।
আপনার পরিবারে যদি কেউ হাম রোগে আক্রান্ত হয়,তাহলে অবশ্যই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে হবে। যেহেতু হাম মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই এ রোগের লক্ষণ বিভিন্নভাবে প্রকাশ করতে পারে।
এজন্য হাম রোগের লক্ষণ দ্বারা সঠিকভাবে হাম রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে হাম রোগের চিকিৎসা প্রদান করলে, হাম রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও হাম রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার জন্য হাম রোগের ঔষধ এর তুলনায় হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকার বেশি কার্যকর।
হাম রোগ কি
হাম হল অত্যান্ত ছোঁয়াচে ও তীব্র মারাত্মক ভাইরাস এর সংক্রমণ জনিত রোগ।এই রোগ কে ইংরেজিতে বলা হয় রুবিওলা(Rubeola)।হাম নামক ভাইরাস জনিত রোগটি প্যারামক্সিভাইরাস গোত্রের মর্বিলিভাইরাস বর্ণের অন্তর্গত। এটি একটি মারাত্মক ও তীব্র ছোঁয়াচে জনিত ভাইরাস।সাধারণত এই ভাইরাসটির জন্যই হাম রোগ সৃষ্টি হয়।
হাম রোগের ভাইরাসের বৈজ্ঞানিক নাম হলো মিজেলস প্যারামক্সিভাইরাস(Measles morbillivirus)। এ ভাইরাসটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে। ফলে আমরা দুর্বলতায় ভুগে থাকি। আর এই পরিস্থিতি থেকে হাম রোগের সৃষ্টি হয়।
এটি একটি ভাইরাসের সংক্রমণ যা আমাদের শ্বাসযন্ত্রে প্রভাব ফেলে। যদিও এ সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ এর জন্য কার্যকরী ও নিরাপদ ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে । তবুও হাম নামক এই ভাইরাস এর সংক্রমণ জনিত রোগ, এখনো পুরো বিশ্বে মৃত্যুর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে পরিগণিত হয়।
হাম রোগ কেন হয়
হাম রোগ হল এক ধরনের ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগটি মূলত মিজেলস প্যারামক্সিভাইরাস নামক এক ধরনের ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে।হাম রোগ সাধারণত ছোট বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত করে।তবে ক্ষেত্র বিশেষে এটি গর্ভবতী মহিলাদেরকেও আক্রমণ করে,অর্থাৎ যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়।
অথবা খুব কম হয় তাদেরকে এই রোগে আক্রান্ত করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ রোগ 5 বছরের কম বয়সীদের সংক্রমণ করে।হাম রোগ হওয়ার প্রধান কারণ হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া।
হাম রোগের লক্ষণ
হাম একটি ভাইরাসজনিত রোগ।এটা এতটাই সংক্রমণজনিত ও সক্রিয় রোগ, যে এর সামান্যতম জীবাণু একটি সংবেদনশীল ব্যক্তিকে প্রতিহত করতে পারে। হাম রোগের লক্ষণ সাধারণত তিনটি পর্যায়ে প্রকাশ পায় এগুলো হলোঃ
প্রোডর্মাল পর্যায় ,
এক্সান্থন পর্যায়
কম্পালসন পর্যায়
প্রোডর্মাল পর্যায়ঃ এই পর্যায়ে বাচ্চারা আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে এদের শরীরে জ্বর থাকে। এই জ্বর এক এক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে।কারো ক্ষেত্রে মৃদু আবার কারো ক্ষেত্রে হাই ফিভার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই পর্যায়ে ১২০ থেকে ১৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর কাছাকাছি জ্বর থাকে।সংক্রমিত বাচ্চাদের কাশি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি সহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়।
এইসব সমস্যা সংক্রমিত ব্যক্তির দেহে দুই থেকে তিন দিন বা তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এটি ছয় থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।এছাড়াও শিশুর আচরণে বেশ কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় যেমনঃ ক্ষুধা মন্দ ও খাওয়ার অরুচি দেখা দিতে পারে ।
এক্সান্থন পর্যায়ঃ প্রোডর্মাল পর্যায়ের পর শুরু হয় এক্সান্থন পর্যায়ের। এ সময় রোগীর দেহে এক ধরনের র্যাশ দেখা দেয়। যা আমাদের কাছে হাম রোগ নামে পরিচিত, আবার অনেকে এই লাল বর্ণের র্যাশ কে ম্যাকুইলিপ্রপেল বলে।কিছু কিছু সময় সময় এটি রোগীর মুখ থেকে শুরু করে শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন শরীর হাত, পা, গলা, বুক, পাঁজর ইত্যাদি প্রায় সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে ।
কখনো কখনো এই র্যাশ থেকে রক্তক্ষরণ হয় ।।র্যাশ থাকাকালীন আক্রান্ত বাঁচার শরীরে প্রচুর পরিমাণে জ্বর থাকে এবং এটি ৬ থেকে ৭ দিনের কাছাকাছি স্থায়ী থাকে। ছয় থেকে সাত দিনের পর এই র্যাশ গুলো ধীরে ফেডিস হয়ে চামড়ার উপরে পৃষ্ঠ হতে চলে যায়।
কম্পালসন পর্যায়ঃ এরপর শুরু হয় কম্পালসন পর্যায়।এক্ষেত্রে শিশুরা হাম রোগের সংক্রমণ থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি লাভ করে। কারো কারো হাম রোগ হতে মুক্তির পর কাশি হয়ে থাকে এবং এটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে।
উপরোক্ত পর্যায়ের লক্ষণ গুলো সাধারণত হামের লক্ষণ হিসেবে পরিচিত। যেহেতু হ্যাম একটি ভাইরাস জনিত রোগ তাই হাম রোগের ঔষধ খাওয়ানোর জন্য অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অথবা হাম রোগের চিকিৎসার জন্য হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
হাম রোগের জীবাণুর নাম কি
হাম রোগ একটি ভাইরাস জনিত রোগ,পাশাপাশি এটি ছোঁয়াচে। হাম রোগের কথা বললে অনেকের মনে প্রশ্ন ওঠে, কোন ভাইরাসের কারণে হাম রোগ সৃষ্টি হয়। বা হাম রোগের জীবাণুর নাম কি? চলুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।হাম রোগের জীবাণুর নাম হলো(Measles morbillivirus) মিজেলস মর্বিলিভাইরাস।
দ্রুত হাম রোগ থেকে মুক্তির জন্য কার্যকরী ঔষধ।
হাম রোগ একটি ভাইরাস জনিত ভয়াবহ ও মারাত্মক রোগ। এই রোগটি পুরোপুরি নির্মূলের জন্য প্রাথমিক কোনো ওষুধ নেই। তবে এই রোগের সুপ্তকাল অর্থাৎ আক্রান্ত হবার চার দিনের মধ্যে টিকা বা ভ্যাকসিন প্রদান করলে, এ রোগটি ভালো হয়ে যায়।
অর্থাৎ শুধুমাত্র সঠিক সময় টিকা ব্যবহার করার মাধ্যমে অল্প সময়ে রোগটি পুরোপুরি ভাবে নির্মূল করা যায়। এছাড়াও হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এর মাধ্যমে ও এ রোগ অনেকাংশে কমানো যায়। তবে এটি পুরোপুরি ভাবে নির্মূল করা যায় না।
পুনরায় দ্বিতীয়বার হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই দ্রুত হাম রোগ থেকে মুক্তির জন্য সঠিক সময়ে টিকা গ্রহণ করতে হবে।বর্তমানে বাজারে হাম রোগের অনেক নাম এবং কোম্পানির টিকা পাওয়া যাচ্ছে। তাই আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হাম রোগের টিকা ক্রয় করবেন।
হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। এ রোগ সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের সংক্রমণ করে। তবে যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক খুবই কম, তারাও এ রোগের আক্রান্ত হতে পারে। হাম রোগ যেহেতু মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
এর ফলে আক্রান্ত মানুষ বিভিন্ন রোগে ভুগতে পারে যেমন জ্বর , কাশি , পানি শূন্যতা,মুখ ফুলে ওঠা, শরীর দুর্বল হয়ে পড়া আরো বিভিন্ন রোগ, হাম রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। যেহেতু হাম একটি ভাইরাসজনিত রোগ, তাই ভাইরাস নির্মূলের জন্য বিশেষ কোনো ঔষধ নেই, তবে হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করার মাধ্যমে, এ রোগ থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে সেগুলো দেওয়া হলোঃ
- হামের গুরুতর জটিলতা দূর করার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।
- এ রোগের সংক্রমণের ফলে অনেক সময় বমি হয়। আর এই বমির মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে দেহ থেকে তরল পদার্থ নিঃসৃত হয়। যার কারনে আমরা পানিসূন্যতায় ভুগতে পারি। তাই আমাদেরকে ঘন ঘন স্যালাইন ও খনিজ লবণ যুক্ত পানিয় পান করতে হবে।
- কাশি নিরাময়ের জন্য কাশির ঔষধ( যেমন, সিরাপ) খেতে হবে।
- শরীর থেকে জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খেতে হবে।
- আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসনালীর ব্যথার উপদ্রব কমানোর জন্য, শ্বাসের সাথে পানির ভাপ নিতে হবে।
উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করলে, সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হাম রোগ আপনাআপনিই সেরে যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে দ্বিতীয় পর্যায়ে আক্রান্ত শিশু পুনরায় আক্রান্ত না হয় কারণ দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয় যা থেকে শিশুর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হাম রোগের প্রতিকার
যেহেতু হাম একটি ভাইরাস জনিত রোগ, তাই এর ওষুধের তুলনায় প্রতিকার ও প্রতিরোধ বেশি কার্যকর।আপনাদের পরিবারের যদি কেউ হাম রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে অবশ্যই যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। সেগুলো হলোঃ
- হাম রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কে অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ থেকে আলাদা রাখতে হবে।
- আক্রান্ত ব্যক্তি কে অন্তত চারদিন পর্যন্ত আলাদা রাখতে হবে। এতে তার শরীরে ফুসকুড়ি গুলো সম্পূর্ণ বেরিয়ে যাবে।
- হাম রোগের সংক্রমণের জন্য উপযোগী বা আসংখ্য পূণ্য ব্যক্তিবর্গ যেমনঃ ১২ মাসের কম বয়সী শিশু, গর্ভবতী মহিলা ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গকে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে।
- আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি এবং কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই তার মুখ ঢেকে রাখতে হবে। যাতে পরিবারের ছোট সদস্যরা এ রোগে আক্রান্ত না হয়।
- ঘন ঘন সাবান দিয়ে সঠিকভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে থাকা ব্যক্তিদের সংস্পর্শের অঙ্গ পৃষ্ঠকে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করুন।
অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হাম রোগের চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
কিভাবে হাম রোগের প্রতিরোধ করা যায়
হাম রোগ থেকে দ্রুত নিরাময়ের জন্য সর্বোত্তম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হলো টিকা প্রদান।কারণ টিকা প্রদান বা ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে প্রায় ৯৭% ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব।তবে এই ভ্যাকসিন সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ এতে হাম রোগ থেকে মুক্তি পেলেও এটি অনেকের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করতে পারে।নিচে সেই সব শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গের কথা বলা হলোঃ
- যাদের হামের ভ্যাকসিন এর প্রতিক্রিয়ায় জটিল কোন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে,বা হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।তাদের টিকা প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে।
- গর্ভবতী মহিলা কে হাম রোগের টিকা প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে।
- এইচআইভি বা এইডস রোগে আক্রান্ত, ব্যক্তিদেরকে টিকা প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত বা ক্যান্সার এর চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন ব্যক্তিকে টীকা প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে।কারণ এই ভ্যাকসিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে দেহে প্লেটলেট সংখ্যা বা খিচুনি দেখা দেয়।
এছাড়াও হাম রোগের বিস্তার রোধ করার জন্য আমরা অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি। আমাদের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি যদি হাম রোগে আক্রান্ত হন ,তাহলে তার উচিতঃখাবার খাওয়া বা বাথরুম ব্যবহার করার আগে ও পরে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেওয়া।হাম রোগের ভাইরাস পুরো এলাকায় ছড়িয়ে যেতে পারে বাপের ভাবেই তো হতে পারে এমন লোকদের সাথে চলাফেরা এবং ব্যক্তিগত সাময়িক সময়ের জন্য ব্যক্তিগত সম্পর্ক বাদ দেওয়া।উপরোক্ত পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে এই রোগকে অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা-, হাম রোগের ঔষধ সম্পর্কে লেখকের শেষ কথা
“প্রিয় পাঠক” আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে হাম রোগ, হাম রোগের ঔষধ, হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা,হাম রোগের কারণ, হাম রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সহ আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে । একজন মানুষের হাম রোগ সম্পর্কে যতটুকু তথ্য জানা প্রয়োজন, তার সবটুকুই এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন, তাহলে আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্য খুঁজে পেয়েছেন।
তবে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, হাম রোগ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। তাই হাম রোগের চিকিৎসা, হাম রোগের ঔষধ এবং হাম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা প্রদানের পূর্বে অবশ্যই এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমরা এই ওয়েবসাইটে সঠিক এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করি।
সলভ্ এ টু জেড এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url