ছাগলের খামার কিভাবে শুরু করতে হয়
আপনি কি ছাগলের খামার করতে ইচ্ছুক কিন্তু আপনি ছাগলের খামার কিভাবে শুরু করতে হয় সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজির পর আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না।তাহলে চিন্তার কিছু নেই ।আজকের এই আর্টিকালে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি , ছাগলের খামার কিভাবে শুরু করতে হয় সে সম্পর্কে।উক্ত টপিকে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
এছাড়াও এ আর্টিকেলে আমরা কিভাবে ছাগলকে মোটাতাজাকরণ করব,কোন কোন জাতের ছাগল বেশি লাভজনক ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। উক্ত আলোচনা কৃত তথ্য জানতে হলে অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
সূচিপত্রঃ ছাগলের খামার কিভাবে শুরু করতে হয়
.
ভূমিকা
আমাদের দেশে অন্যতম গৃহপালিত পশু হলো ছাগল । আমাদের দেশে ছাগলের মাংসের অনেক চাহিদা। কারণ ছাগলের মাংস তুলনামূলক অনেক সুস্বাদু।, যাদের গাভী কেনার সামর্থ্য নেই তারা ছাগল খামার করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন( অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ছাগলের খামার কিভাবে শুরু করতে হয় ।
এবং সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে অনেকে ছাগলের খামার শুরু করার আগেই ঝরে পড়ে তবে চিন্তার কিছুই নেই আজকে এ পোস্টটিতে কিভাবে ছাগলের খামার শুরু করব সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল) তাই ছাগলকে অনেক সময় বলা হয় গরিবের গাভী। গাভী পালন করলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন , বাসস্থান, খাদ্য লাগবে।
অন্যদিকে ছাগল পালনের ক্ষেত্রে মূলধন কম লাগার পাশাপাশি ছাগলকে মাঠে ,রাস্তার পাশে ইত্যাদি খোলা স্থানে বেঁধে রাখা যায়।আবার এদের খাদ্য খরচ কম লাগে এবং তুলনামূলকভাবে লাভ বেশি পাওয়া যায়। রাতে ছাগলকে ছোটখাটো জায়গায় বেঁধে রাখা যায়।যা গাভীর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। তাই যাদের বাসস্থান কম এবং মূলধন কম তারা এই ছাগল পালন পদ্ধতি শুরু করতে পারেন ।
ছাগল এর খামার সাধারণত দুইভাবে করা যায় । বদ্ধ পদ্ধতিতে ও খোলা পদ্ধতিতে । যাদের চরম ভূমিতে ছাগল চরার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ জমি নেই তারা আবদ্ধ পদ্ধতিতে ছাগল পালন করতে পারেন। ছাগল পালনে খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি লাভ ও অনেক বেশি হয়ে থাকে।
ছাগলের খামার কিভাবে শুরু করতে হয়?
আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে তরুণরা ছাগলের খামার করার জন্য সবচেয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে।তবে অধিকাংশ তরুনেরা জানেনা ছাগলের খামার কিভাবে শুরু করতে হয় ।এখনকার প্রায় সব ছাগলের খামার উদ্যোক্তার প্রধান লক্ষ্য হলো মাংস উৎপাদন । এর পাশাপাশি কেউবা চামড়ার জন্য ছাগল পালন করে থাকেন।
আপনার উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন ছাগলের খামার করতে হলে অবশ্যই আপনার প্রয়োজন হবে অভিজ্ঞদের পরামর্শ ও ছাগল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা।এছাড়াও অবশ্যই আপনাকে ছাগল পালনের নির্দিষ্ট বাসস্থান ,পরিবেশ ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে। এবং ছাগলের খামারের জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক ছাগলের জাত নির্বাচন করতে হবে।
ছাগলের জাত কত প্রকার
ছাগলের খামার করার পূর্বশর্ত হচ্ছে ছাগলের জাত নির্বাচন। কারণ ব্যবসায় বেশি লাভ করতে হলে যেমন সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন ঠিক তেমনি ছাগলের খামারে লাভ করার জন্য সঠিক জাতের ছাগল নির্বাচন করা একান্ত জরুরি। আমাদের দেশে প্রধানত সাত রকম ছাগলের প্রচলন রয়েছে এগুলো হলো
- এলপাইন
- ব্ল্যাক বেঙ্গল
- খারি
- কিকো
- আইরিশ
- রামছাগল
আমাদের দেশে উপরোক্ত ছয়টি জাতের ছাগল কে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়। এবং এরা বাংলাদেশে বেশ পরিচিত এবং উন্নত জাতের ছাগল।
মাংস উৎপাদনকারী ছাগলের জাত
যদি আপনি মাংস বিক্রির জন্য খামার করে থাকেন। তাহলে বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছাগল পালনের জন্য বেশ কিছু উন্নত জাতের ছাগলের বিস্তার ঘটেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় জাত হলো ।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলঃ এ ছাগলের চামড়া বাজারে অত্যন্ত উঁচু মানের চামড়া হিসাবে বিশেষ কদর রয়েছে। তাছাড়াও এ জাতের ছাগল পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ প্রদান করে। তবে এই ছাগল বেশি বড় হয় না তবুও একজন প্রাপ্তবয়স্ক ছাগলের ওজন প্রায় ২০ থেকে ৩০ কেজি বা তার চেয়েও বেশি ও হতে পারে ।
রাম ছাগলঃ আমাদের দেশে প্রায় ৮২% ছাগলের খামার করার উদ্যোগ নেওয়া হয় শুধুমাত্র মাংস উৎপাদনের জন্য ।তাই এসব খামারের প্রধান লক্ষ্য হলো বেশি বেশি মাংস উৎপাদন করা।মাংস উৎপাদনকারী ছাগলের জাত হিসাবে বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত ছাগলের জাত হলো রাম ছাগল।
আপনি যদি শুধুমাত্র মাংস উৎপাদনের জন্য খামার করতে চান। তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ছাগলের জাত হলো রামছাগল। কারণ রাম ছাগলের ওজন প্রায় 40 থেকে 60 কেজি পর্যন্ত হতে পারে। রাম ছাগল পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ প্রদান করে তবে এটি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মত মানসম্মত বা সুমিষ্ট নয়।
কোন জাতের ছাগল বেশি বাচ্চা দেয়
আমাদের দেশে খুব জনপ্রিয় মাংস উৎপাদনকারী ছাগলের জাত হল ব্ল্যাক বেঙ্গল এবং রাম ছাগল । ব্ল্যাক বেঙ্গল সাধারণত প্রত্যেকবার দুটো থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে অন্যদিকে রাম ছাগল সর্বোচ্চ তিনটি পর্যন্ত বাচ্চা দেয় ।এছাড়াও আমাদের দেশে যত গুলো ছাগলে জাত রয়েছে তারা সর্বোচ্চ দুটি করে বাচ্চা দিয়ে থাকে তাই বাচ্চা দেওয়ার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল।
কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি
আমরা ছাগলের খামার তৈরি করার কথা ভাবলে একটা প্রশ্ন আমাদের মাথায় আসে , যে কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি।তাই আপনি যদি আমাদের দেশে ছাগল পালনের ব্যবসা শুরু করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই উন্নত জাতের ছাগল সংগ্রহ করতে হবে।কারণ আমাদের দেশে ছাগল পালন দিন দিন বেশ উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কারণ এটি একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা।
তাই অনেকেই এই ব্যবসার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।যেহেতু ছাগলের দুধে খুব কম ল্যাকটোজ থাকে তাই ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা ভোগা লোকদের জন্য এটা হজম করা বেশ সহজ। এবং বাংলাদেশের যেহেতু মাংস চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই এই চাহিদা মেটানোর জন্য অবশ্যই উন্নত জাতের ছাগল পালন করতে হবে এতে যেমন আমাদের দেশে মাংস ও ও দুধের চাহিদা মিটে যাবে অন্যদিকে আমরা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করে । উন্নত জাত গুলোর মধ্যে আমাদের দেশে কয়েকটি জাত বেশ জনপ্রিয়।
ছাগলকে কি খাওয়ালে তাড়াতাড়ি বড় হয়?
আমাদের দেশের ছাগল খামারিদের প্রধান লক্ষ্য হলো মাংস উৎপাদন। তাই আমাদের ছাগল পালনের পাশাপাশি ছাগলের স্বাস্থ্যের দিকে ও নজর দিতে হবে। কারণ ছাগল মোটাতাজাকরণ প্রকল্প হতে পারে আপনার জন্য একটি লাভজনক প্রকল্প। তবে ছাগল মোটাতাজাকরণ যেমন একদিকে লাভজনক ঠিক তেমনি অন্যদিকে এটি অভিজ্ঞতা সাপেক্ষ ব্যাপার।
সঠিকভাবে ছাগল মোটাতাজাকরণ করার জন্য চায় প্রয়োজনীয় খাবার। কারণ ছাগল মোটাতাজাকরণের একমাত্র উপায় হল পরিমিত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো । উক্ত খাবার গুলোর নাম সংক্ষিপ্ত আকারে নিচে দেওয়া হল এবং পরের আর্টিকেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
- ভুট্টা ভাঙ্গা
- অঙ্কুরিত ছোলা
- গম ভাঙ্গা
- চিটাগুড়া
- আলু বা মিষ্টি কুমড়া
- সয়াবিন খৈল বা সরিষার খৈল
- ভিটামিন প্রমিক্স এবং ক্যালসিয়াম
ভুট্টা ভাঙ্গাঃ শুকনো ভুট্টা কে আপনি ভিজিয়ে রেখে বা সিদ্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যতটুকু ছাগল হজম করতে পারবে অর্থাৎ পায়খানা সামান্য নরম না হওয়া পর্যন্ত অল্প অল্প করে বৃদ্ধি করতে থাকবেন। যখন ছাগলের পায়খানা নরম হবে তখন থেকে ভুট্টা ভাঙ্গা খাবার আর বৃদ্ধি করা যাবে না।
গম ভাঙ্গাঃ আপনি ছাগলের খাবার হিসেবে গম ভেঙ্গে পাউডার হিসেবে দিতে পারেন আবার গরম ভিজিয়ে রেখে তারপর দিতে পারেন।। তবে গম এক বেলা ভিজিয়ে রেখে তারপর ছাগলের খাবার হিসেবে দেওয়াই উত্তম।কারণ এতে গমের পুষ্টি গুণ নষ্ট হয় না।
চিটাগুড়ঃ চিটাগুড় বা লালি গুড় মোটাতাজাকরণের জন্য ছাগলকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াতে হবে।
আলু বা মিষ্টি কুমড়াঃ অনেক সময় আমাদের দেশে আলুর দাম অনেক কম হয় তখন আমরা ছাগলকে মোটাতাজাকরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু বা মিষ্টি কুমড়া খাওয়াতে পারি। তবে অবশ্যই এই খাবার নিয়মমাফিক খাওয়াতে হবে। একটি ছাগলকে দিনে প্রায় ৫০০ গ্রাম কাচা আলু খাওয়ানো যাবে।
এছাড়াও মোটাতাজাকরণের জন্য প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ও উপরোক্ত খাবারগুলো নিয়ম অনুসারে খাওয়াতে হবে। এবং এর পরিমাণ আস্তে আস্তে বৃদ্ধি করতে হবে। তবে একবারে হঠাৎ করে এইসব খাবার বেশি খাওয়ালে আপনার গরুর ডায়রিয়া , পাতলা পায়খানা সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
এতে করে আপনি অনেক লোকসান এর সম্মুখীন হতে পারেন বা আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্য হতে পিছিয়ে
পড়তে পারেন। তাই উপরোক্ত খাবারগুলো নিয়ম মাফিক খাওয়ানো উচিতএবং ছাগলের খামার যেহেতু
একটি অভিজ্ঞতা সাপেক্ষ ব্যাপার তাই ছাগলের খামার শুরু করার পূর্বে আপনি যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন জেলা পশু সম্পদ অধিদপ্তর থেকে ছাগলের খামার কিভাবে শুরু করতে হয় সে সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিতে।
ছাগল কত মাসে বাচ্চা দেয়
বিভিন্ন জাতের ছাগল বাচ্চা দিতে বিভিন্ন সময় নিয়ে থাকে। কোন জাতের ছাগল বছরে দুইবার বাচ্চা দিয়ে থাকে। আবার অনেকে দুই বছরে তিনবার বাচ্চা দিয়ে থাকে। যেমন ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল ১৪ মাসে ২ বার বাচ্চা দেয়। প্রত্যেকবারই সর্বনিম্ন দুইটি এবং সর্বোচ্চ পাঁচটি পর্যন্ত বাচ্চা দিয়ে থাকে। ব্ল্যাক বেঙ্গল সাধারণত বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খন্ড উত্তর উড়িষ্যা ও আসামে পাওয়া যায়।
অন্যদিকে রাম ছাগল জাতের ছাগল এক বছর বা 12 মাসে দুইবার বাচ্চা দিয়ে থাকে প্রত্যেকবারেই প্রায় তিনটি করে বাচ্চা দেয়। রাম ছাগল জাতের ছাগল বাংলাদেশ ছাড়াও মায়ানমার , ভারত , নেপাল পাকিস্তানে এদের পাওয়া যায় । বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ছাগলই একবার বাচ্চা দিতে প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস সময় নেয়।
ছাগল কত বছর বাঁচে
আমরা সাধারণত কোন ব্যবসা করার আগে নিশ্চিত হয় সেই ব্যবসা কতদিন থাকবে বা কতদিন স্থায়িত্ব লাভ করবে। ঠিক তেমনি ভাবে ছাগল পালন পদ্ধতি বা ছাগলের খামার পদ্ধতিতে অবশ্যই খামারিদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল ছাগলের জীবনকাল কতদিন বা ছাগল কত বছর বাঁচে।
ছাগলের জীবনকাল এর নির্দিষ্ট কোন সীমা রেখা নেই।এছাড়াও অসুখ-বিসুখ ইত্যাদি কারণে জীবন রেখার তারতম্য দেখা যায় । ছাগলের জীবনকাল প্রজাতিভেদে এক এক রকম হয়ে থাকে।সাধারণত একটি ছাগল গড়ে প্রায় ৮ থেকে ১৪ বছর বেঁচে থাকে। খাদ্য , বাসস্থান , জীবনযাত্রার অবস্থান অন্যান্য কারণ গুলি ছাগলের গড় আয়ু কে প্রভাবিত করে।
এছাড়াও অনেক ছাগলের গড় আয়ু থেকে বেশি দিন বেঁচে থাকে। এর কারণ হলো অত্যাধিক যত্ন , প্রজাতিগত গড় আয়ু দীর্ঘ . এবং প্রেমময় পরিবেশ ইত্যাদি। অর্থাৎ ছাগলের জীবনধারার ওপর নির্ভর করে এর গড় আয়ু বা জীবনকাল।
লেখকের মন্তব্য
আপনি যদি আপনার খামার মাংস উৎপাদনের জন্য শুরু করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এমন জাতের ছাগল নির্বাচন করতে হবে। যে অত্যাধিক পরিমাণে মাংস উৎপাদনে সক্ষম। তাই আপনার খামারে মাংস উৎপাদনের জন্য ব্ল্যাক বেঙ্গল ও রাম ছাগল এই দুটি জাতের মধ্যে যেকোনো একটিকে আপনি আপনার খামারের জন্য বাছাই করতে পারেন।
তবে মাংস উৎপাদনের জন্য অধিক উপযোগী জাত হল রাম ছাগল। রাম ছাগল জাতের একটি একটি প্রাপ্তবয়স্ক ছাগলের ওজন প্রায় 40 থেকে 60 কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। অন্যদিকে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের ওজন প্রায় ২০ থেকে ৩০ কেজি হয়ে থাকে ।
তাই আমার মতে আপনি যদি মাংস উৎপাদনের জন্য ছাগলের খামার শুরু করেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য রামছাগল জাতটি অধিক গ্রহণযোগ্য হবে। আর যদি আপনি আপনার খামার দুধ উৎপাদনের জন্য তৈরি করেন তাহলে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল সবচেয়ে বেশি লাভজনক হবে।
সলভ্ এ টু জেড এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url