২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মহাপরিচালক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর কাজ কি বা ২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মহাপরিচালক কে? সাধারণত আমরা অনেকেই এ বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিনা।তবে আমাদের অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত। আজকের এই আর্টিকেলে ২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মহাসচিব কে এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এছাড়াওবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কবে প্রতিষ্ঠিত হয় , সদর দপ্তর, এবংবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তর কোথায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে, সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
সূচিপত্রঃ ২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মহাপরিচালক কে?
.
ভূমিকা
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী অঙ্গ সংস্থা হল ডব্লিউ এইচ ও বা(World Health Organization)।
এই সংস্থাটি ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল জাতিসংঘের একটি সম্মিলিত সমাবেশে, বিশ্বের জনস্বাস্থ্য প্রতি লক্ষ্য রেখে, এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরোপডুনঃ জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব কে ২০২৪
এবং পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ২৪ শে জুলাই জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা, ডাবলু এইচ ও এর প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এ সংস্থাটি মূলত জনসাধারণের স্বাস্থ্যবিধি নিরক্ষন করে। পাশাপাশি রোগ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যগত সমস্যার আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানগত শ্রেণিবিন্যাস সহ প্রয়োজনীয় সম্পদ ও সহায়তা প্রদান করে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৫১ সালে জাতিসংঘের যথেষ্ট সম্পদের অন্ত- প্রবাহ, এ সংস্থাটিকে আরো শক্তিশালী এবং কার্যকারী করে তোলে।২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মহাপরিচালক কে?বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কবে পালন করা হয়?,এছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউ এইচ ও হলো, জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি বিশেষ সংস্থা। এই সংস্থাটি আন্তর্জাতিক জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য কাজ করে থাকে। এটি জাতিসংঘের একটি স্থায়ী উন্নয়ন দলের অংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউ এইচ ও এর সংবিধান সংস্থাটির গভারর্নিং পরিষদ বর্গ বা প্রশাসনিক কাঠামো ,এবং বেশ কিছু নিয়ম নীতি স্থাপন করে।
এই সংস্থাটির মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের স্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ নিরাপদ নিশ্চিত করা। এছাড়াও এই সংস্থাটি পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান যেমন পানি, বায়ু, বৃক্ষ, নদ-নদী ইত্যাদি দূষণমুক্ত করতে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।এর প্রধান কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউ এইচ ও এর কর্তৃপক্ষ মনে করে নোংরা পরিবেশ ও খারাপ পরিস্থিতি, মানুষের রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মূলত আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য মান নির্ধারণ করে এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কতার পাশাপাশি সেবা প্রদানকরে। ডব্লিউ এইচ ও সংগঠনটি পুরো বিশ্বে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক নীতিগত আলোচনার জন্য একটি আদর্শ মাপকাঠি হিসাবে কাজ করে ও বেশ পরিচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা( World Health Organization)সংক্ষেপে ডব্লিউ এইচ ও হল জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এক বিশেষ সংস্থা। এই সংস্থাটির মূলত আন্তর্জাতিক বা পুরো বিশ্বের জনগণের সাস্থ্যের জন্য কাজ করে। এই সংস্থাটি জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা, এবং জাতিসংঘের স্থায়ী উন্নয়ন দলের অংশ।১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সমাজ পরিষদ কর্তৃক, আন্তর্জাতিক জনসাস্থ্যের উদ্দেশ্যে একটি সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং পরবর্তীতে সেই বছরেই জুন ও জুলাই মাসে মাঝামাঝি সময় আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবং জাতিসংঘ কর্তৃক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা (World Health Organization)বা ডব্লিউ এইচ ও সংস্থাটি সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়।
এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ২৪ জুলাই ১৯৪৮ সালের সংস্থাটির প্রশাসনিক সংস্থা অনুষ্ঠিত করা হয়। ডব্লিউ এইচ ও সংস্থাটিতে আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্যের রোগ ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানগত শ্রেণীবিন্যাস, সেবা প্রদান, সম্পদ, কর্মীসভা ও দায়িত্ব সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ১৯৫১ সালে জাতিসংঘ থেকে আসা পর্যাপ্ত সম্পদের আন্তঃপ্রবাহ এর মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে কার্যকরীভাবে প্রতিষ্ঠিত করে তোলে। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত করা হয় ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্দেশ্য
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক বা পুরো বিশ্বের মানুষের সর্বোচ্চ সম্ভাব্য স্বাস্থ্য নিরক্ষন করা।অর্থাৎ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার পক্ষে পরামর্শ প্রদান, জনগণের স্বাস্থ্যর ঝুঁকি নিরক্ষন করা, এবং জনসাস্থ্যের জরুরী পরিস্থিতি ও প্রতিক্রিয়ায় সমন্বয়ে করা এবং মানবজাতির সুস্বাস্থ্য প্রচার করা।এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিষয়ের সমন্বয়ের মত বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
উপরোক্ত কতগুলো উদ্দেশ্য নিয়েই ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা(World Health Organization)সংক্ষেপে ডব্লিউ এইচ ও সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়।এই সংস্থাটি জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গ সংস্থা। তাই জাতিসংঘের সম্মিলিত উদ্যোগের ফলেই এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং জাতিসংঘের অর্থ আন্তঃপ্রবাহের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর কার্যকারিতা পায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অবস্থিত
World Health Organizationবা ডব্লিউ এইচ ও হলো জাতিসংঘ বা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী উন্নয়ন সংস্থা। যার প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানবজাতির সুস্বাস্থ্যের প্রচার করা এবং বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ প্রদান ও স্বাস্থ্য কভারেজ প্রদান করা।এই সংস্থাটি পৃথিবী থেকে গুটি বসন্ত, পোলিও নির্মূল কর্মসূচির জন্য বিভিন্ন প্রচার অভিযান চালায়।
পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করে। ডব্লিউ এইচ ও বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতিসংঘের সম্মিলিত উদ্যোগে ১৯৪৮ সালের৭ই এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত করা হয়।এ সংস্থাটির অবস্থান সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর ছয়টি আধা -স্বায়ত্তশাসিত আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। আঞ্চলিক কার্যালয়ের অবস্থান গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলো।
- আফ্রিকান আঞ্চলিক সংস্থা (AFRO)
- পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় আঞ্চলিক সংস্থা (EMRO)
- দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক সংস্থা (SEARO)
- আমেরিকা আঞ্চলিক সংস্থা (AMRO)
- পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা (WPRO)
- এবং ইউরোপীয় আঞ্চলিক সংস্থা(URO)
WHO এর পুরো নাম কি এর প্রধান কাজ কী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO এর পুরো নাম হল(World Health Organization) ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।এই সংস্থাটি মূলত জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ ধরনের বা বিশেষায়িত সংস্থা। ডব্লিউ এইচ ও সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয় জনসাস্থ্যের কল্যাণের জন্য।সাধারণত ডব্লিউ এইচ ও বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধানত বিভিন্ন মহামারী রোগ প্রতিরোধে বেশি কাজ করে থাকে ।যেমনঃ শিশুদের রোগ
- হাম
- বসন্ত
- যক্ষা
- পোলিও
- হুপিং কাশি
- টিটেনাস
ইত্যাদি রোগ দূর করনে এবং সেবা প্রদানের শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কাজ করেছে আসছে। এছাড়াও এসব রাগের বিভিন্ন টিকা পোলিও ইত্যাদি সরবরাহ করে। বিভিন্ন মারাত্মক রোগ সম্পর্কে এই সংস্থাটি পুরো বিশ্বকে সতর্ক করে।
ঠিক তেমন ২০১৯ সালে করনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রেরণ এবং আর্থিক সহায়তা, টিকা সরবরাহ ,করনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী সতর্কতা অবলম্বন ও গবেষণা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কার্যকারী ভূমিকা পালন করেছিলো।
কারণ জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা WHOবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজ হলো মহামারীর রোগ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বা পুরো বিশ্বের মানুষকে সচেতন করা, উক্ত রোগ নিয়ে গবেষণা করা এবং প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতা করা। এছাড়াও আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের সচেতন এ সংস্থার অন্যতম কাজের মধ্যে একটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তর কোথায়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO এর প্রধান কার্যালয় বা সদর দপ্তর হল সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অবস্থিত।এই সংস্থাটির একটি সদর দপ্তরের রয়েছে। পাশাপাশি পুরো বিশ্বজুড়ে ছয়টি আধা-স্বায়ত্তশাসিত আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছ, এবং প্রায় ১৬০টি ভূমি অফিস রয়েছে।এই সংস্থাটির মেইন বা প্রধান উদ্দেশ্য হল সর্বোচ্চ সম্ভাব্য দেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশ কয়টি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা(World Health Organization) ডব্লিউ এইচ ও সংস্থাটি ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিলে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করার মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিলো পুরো বিশ্বের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। পাশাপাশি পরিবেশ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মহামারী রোগ সম্পর্কে পুরা বিশ্বের মানুষকে সতর্ক এবং সেবা প্রধান করা, জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করা।এবং মহামারি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য উক্ত রোগ সম্পর্কে গবেষণা করা, ইত্যাদি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল, জাতিসংঘের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমান জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা ১৯৪ টি। তবে who সংস্থাটি শুরুর প্রথম দিকে এর সদস্য সংখ্যা ছিলো ৯০ টি যা এখনকার তুলনায় অনেকাংশই কম ছিলো।
২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মহাপরিচালক কে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউ এইচ ও এর মোট সদস্য দেশ হল ১৯৪ টি ।১৯৪ টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধর সমন্বয়ে এই সংস্থাটির গভর্নিং বডি নির্বাচন, মহাপরিচালক নির্বাচন করা হয় । এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর বাজেট অনুমোদন করার জন্য ভোটিং পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়।বর্তমান বা ২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন টেড্রস আধানোম। টেড্রস আধানোমএকজন প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ইপিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কবে পালন করা হয়?
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয় ৭ই এপ্রিল। কারণ ১৯৪৮ সালের ৭ ই এপ্রিল জাতিসংঘের একটি সম্মিলিত সম্মেলনে জনসাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে, একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং সেই বছরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘের অগাধ আর্থিক আন্ত- সহযোগিতায় মাধ্যমে, ডব্লিউ এইচ ও সংস্থাটি কার্যকরী হবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাই ৭ ই এপ্রিলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়।
World Health Organization বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় বাংলাদেশ
ডাব্লিউএইচও একটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সংস্থা। এ সংস্থাটি ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন এই সংস্থার সদস্য দেশ ছিল ৯০ টি। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা হল ১৯৪ টি। জাতিসংঘের প্রায় সকল সদস্য রাষ্ট্রই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর সদস্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন এ সংস্থাটি বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে। এবং পরবর্তীতে বা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ২২শে জুন বাংলাদেশ এর সদস্য পদ লাভ করে ।এবং ১৯৭২ সালের ২২ শে জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর সদস্য হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম ও সহযোগিতা এবং সেবা প্রদান করেছেন ।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী উন্নয়ন সংস্থা ডাব্লিউএইচও এর ১৩৬ তম সদস্য দেশ হিসাবে ১৯৭২ সালের ২২শে জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগদান করেন।
২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মহাপরিচালক কেঃ শেষ কথা
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্দেশ্য,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (who) অবস্থিত,Who এর পুরো নাম কি এর প্রধান কাজ কী,World Health Organization বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় বাংলাদেশ,বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কবে পালন করা হয়?২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মহাপরিচালক কে?
এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা, তাই এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা উচিত। আশা করি আপনারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।
আপনার যদি এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে ভালোবাসেন, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য “ধন্যবাদ”।
সলভ্ এ টু জেড এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url