কারেন্ট প্রকার ঔষধ কি-কারেন্ট পোকা প্রতিরোধে করণীয় কি
আপনি কি আপনার ধান ক্ষেতে কারেন্ট পোকা নিয়ে চিন্তিত? অথবা আপনার ধান ক্ষেতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে, কারেন্ট পোকার ঔষধ কি এবং এর প্রতিকার কি সে সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা নেই,তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আজকের আর্টিকেলে কারেন্ট পোকার ঔষধ কি এবং কারেন্ট পোকার আক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় কি, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও কারেন্ট পোকা দমনে কার্যকরী বালাইনাশক বা কীটনাশক এবং দমন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কারেন্ট পোকার ওষুধ কি সহ উপরোক্ত গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান,তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা আপনি কারেন্ট পোকার ওষুধ কি এবং এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।ইনশাআল্লাহ
সূচিপত্রঃ কারেন্ট প্রকার ঔষধ কি-কারেন্ট পোকা প্রতিরোধে করণীয় কি?
.
ভূমিকা
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ, কৃষি এ দেশের প্রাণ। তাই প্রতি বছর বাংলাদেশের কৃষকরা বিপুল পরিমাণে ফসল ফলায়।এদের মধ্যে ধান অন্যতম, তবে বর্তমান সময়ে ধান চাষ কৃষকদের কাছে অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ হলো ধানক্ষেতে বিভিন্ন পোকার আক্রমণ যা ধান খেতের প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ধান নষ্ট করে ফেলতে সক্ষম।
তাই প্রতি বছর আমাদের দেশের কৃষকরা বিপুল পরিমাণের লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং কৃষি কাজের প্রতি অনীহা বা অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন। বর্তমান সময় ধান ক্ষেতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর পোকা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কারেন্ট পোকা বা বাদামি গাছ ফড়িং, যা প্রতিবছর আমাদের দেশের বিপুল পরিমাণ ফসল নষ্ট করে।
আমাদের দেশে খুব কম সংখ্যক কৃষকই রয়েছেন যারা এই পোকাটির বিষয়ে সুস্পষ্ট ভাবে পরিচিত অর্থাৎ আমাদের দেশের বেশিরভাগ কৃষকই কারেন্ট প্রকার সাথে পরিচিত নন। তাই কিভাবে কারেন্ট পোকা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করবেন এবং কারেন্ট পোকার ঔষধ কি সে সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই, এজন্য তারা প্রতিনিয়ত উদাসীনতায় ভুগছেন এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বাদামি গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার পরিচয়
ধানের জন্য যে সকল পোকা হুমকি স্বরূপ তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ঘাসফড়িং বা কারেন্ট পোকা। কারেন্ট পোকাকে ইংরেজিতে(Brown plant hopper বা BPH ) বলে। ঘাসফড়িং প্রায় সকল ফসলে আক্রমণ করে তবে এটি ধানে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে। এই পোকা সাধারণত ধান ক্ষেতে সর্বাধিক বৃদ্ধি অর্জন করে।
যেসব ধানে কুসি বেশি পাওয়া যায় এবং যেসব ধান ঘাসফড়িং বা কারেন্ট পোকা প্রতিরোধ নয় সেসব ধান ক্ষেতে কারেন্ট পোকার উপদ্রব বেশি দেখা দেয়। কারেন্ট পোকা বা বাদামি গাছ ফড়িং ধান ক্ষেতে আক্রমণ করার পর এরা ধান গাছের গোড়ায় বা খোলে বসে ধান গাছের রস চুষে খেয়ে নেয়। এবং বেশ কিছু জায়গায় ধান গাছের রং পুড়ে যাওয়ার মত বর্ণ ধারণ করে বা খড়ের মতো বর্ণ ধারণ করে।
কারেন্ট পোকা এক এক অঞ্চলে এক এক নামে পরিচিত, কোথাও কারেন্ট পোকা,কোথাও গাছ ফড়িং আবার কোথাও গুনগুনি পোকা নামে পরিচিত। কারেন্ট পোকা আনুমানিক ৪ মিলিমিটার লম্বা এদের গায়ের রং বাদামী হয়, তবে বাচ্চা অবস্থায় এরা দেখতে সাদা রঙের হয়।কারেন্ট পোকা ধান গাছের গোড়ায় বা খুলে বসবাস করে।
একটি লিম্ফ থেকে পূর্ণবয়স্ক কারেন্ট পোকা বা গাছ ফড়িং হতে প্রায় পাঁচ বার খোলস পাল্টায় তাই কারেন্ট পোকায় আক্রান্ত ক্ষেতের ধান গাছের গোড়ায় অনেক সময় কারেন্ট পোকার খোলস দেখা যায়। এরা মূলত যেসব জায়গায় ধান গাছের ঘনত্ব বেশি এবং বাতাস চলাচল করে না, সেসব জায়গায় সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে থাকে। এবং ধান গাছ হেলে পড়ে গেলে সেখানে এদের উপস্থিতি তুলনামূলক সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়।
কারেন্ট পোকার বংশবৃদ্ধি
একটি পূর্ণবয়স্ক গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার গায়ের রং বাদামি ধূসর বর্ণের হয় এদের শরীরের আকার প্রায় ৪ মিলিমিটার লম্বা হয়ে থাকে, এরা সাধারণত ধান গাছের গোড়া বা শিরায় ডিম পেড়ে থাকে। ডিম দেওয়ার ৭-৯ দিনের মধ্যে উক্ত ডিম থেকে কারেন্ট পোকার লিম্ফ বের হয়।
কারেন্ট পোকার লিম্ফ থেকে পূর্ণবয়স্ক কারেন্ট পোকা হতে প্রায় পাঁচ বার খোলস ছাড়ে। একটি লিম্ফ গাছ-ফড়িং বা কারেন্ট পোকা পূর্ণবয়স্ক কারেন্ট পোকা হতে আবহাওয়া ভেদে প্রায় 14 থেকে ১৬ দিন সময় নেয়।এরা সদ্য ডিম থেকে বের হলে এদের গায়ের রং সাদা বর্ণের হয়ে থাকে।
এক জোড়া পূর্ণবয়স্ক গাছ ফড়িং প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কারেন্ট পোকার জন্ম দিয়ে থাকে, এরা দিনে প্রায় ৫০ মাইল পথ অতিক্রম করে। গাছ ফড়িং এর দেহের তুলনায় প্রায় সাত থেকে আট গুণ বেশি খাবার খায়। এ পোকা ফসলের যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে, অর্থাৎ এটি ২০ তলা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে তবে এদের আক্রমণের উপদ্রব ধানের কাইচ থোর আসাড় সময় বৃদ্ধি পায়।
কারেন্ট পোকা আক্রমনের অনুকূল পরিবেশ
- যেসব ধানের অধিক কুশি উৎপাদন হয়। সেই সব জাতের ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেশি দেখা যায়।
- অত্যাধিক গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া অর্থাৎ আবহাওয়া গুমোট অবস্থা
- গাছপালার ছায়া যুক্ত স্থান, অর্থাৎ যেখানে পুরো দিন সূর্যের আলো উপস্থিত থাকে না শুধুমাত্র কিছু ঘন্টা রোদের উপস্থিতি থাকে এরকম পরিবেশে কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেশি হয়
- ধানক্ষেত স্যাঁতস্যাঁতে থাকলে বা ধান খেতে জমানো পানি থাকলে।
- ধান গাছের চারা তুলনামূলক ঘন করে রোপন করলে, কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেশি দেখা দেয়।
- জমিতে অত্যধিক পরিমাণে বা অপ্রয়োজনীয় ইউরিয়া সার প্রয়োগ করলে সেক্ষেত্রে ধান গাছের গোড়া নরম হয় এবং কারেন্ট পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পায়।
- বাতাস চলাচল কম হলে অর্থাৎ গোমট পরিবেশ সৃষ্টি হলে।
- দিনের তুলনায় রাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এবং আদ্রতা ৮০% এর উপরে হলে সে ক্ষেত্রে জমিতে কারেন্ট পোকার উপদ্রব দেখা দেয়।
কারেন্ট পোকা জমিতে আক্রমণের সময়
কারেন্ট পোকা প্রায় সব মৌসুমী প্রত্যেকটি ফসল আক্রমণ করে থাকে, তবে বেশ কিছু মৌসুমে এদের আক্রমন তুলনামূলক বৃদ্ধি পায়। সেগুলো হলো রোপা ও ও আমন মৌসুমে। এই মৌসুমে তাপমাত্রা এবং আদ্রতা দুটোই কারেন্ট পোকার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযোগী তাই এ দুই মৌসুমে ধান খেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেশি দেখা দেয়।
বোরো ধানক্ষেতে এপ্রিল- মে মাসে আক্রমণ করে, এবং আমন ধান খেতে সেপ্টেম্বর- নভেম্বর মাসে বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণ বৃদ্ধি পায়।
কারেন্ট পোকার আক্রমণের লক্ষণ
বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার বছরের প্রায় সব মৌসুমে ফসল কে আক্রমণ করে, তাই কারেন্ট প্রকার ধানক্ষেতে যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। তবে বিশেষ করে এদের আক্রমণ ধানের কাইস থোড় আসার সময় বৃদ্ধি পায়।কারেন্ট পোকার লিম্ফ থেকে শুরু করে পূর্ণবয়স্ক কারেন্ট পোকা প্রায় সবাই গাছের গোড়ায় দলবদ্ধ হয়ে ধান ক্ষেতে আক্রমণ করে।
একটি কারেন্ট পোকা তাদের দৈহিক ওজনের চেয়ে প্রায় ১০ থেকে ২০ গুণ খাবার খেতে সক্ষম।বাদামী গাছ ফড়িং ফসলের রস শোষণ করে যার ফলে ফসলের গাছ দুর্বল এবং হলুদ হয়ে শুকিয়ে মারা যায়। এছাড়াও বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকা ফসলের গাছের রস চুষে খাওয়ার পাশাপাশি ফসলকে বিভিন্ন রোগ দ্বারা সংক্রমিত করে যেমনঃ
- গ্রেসি স্টান্ট
- ব্যাগেট স্টান্ট
- উইল্ট স্টান্ট
ইত্যাদি ভাইরাস অল্প সময়ে প্রচুর পরিমাণে বংশ বৃদ্ধি ঘটায়। এদের সংখ্যা এত পরিমাণ বেড়ে যায় যে এসব ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ধান ক্ষেতে বাস পড়ার মতো সৃষ্টি হয়। বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমণের ফলে মাঠের পর মাঠ ফসল নষ্ট হয়ে যায়। একটি ধান ক্ষেতে বাদামী গাছ ফড়িং আক্রমণের ফলে উক্ত ধান ক্ষেতে ২০ থেকে ১০০ পার্সেন্ট ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কারেন্ট পোকা দমন ব্যবস্থাপনা
বর্তমান সময়ে যেসব রোগের কারণে ধান চাষ প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে এদের মধ্যে অন্যতম হলো কারেন্ট পোকা। তাই আপনি যদি আপনার ধানক্ষেতকে কারেন্ট পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এর দমন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
- প্রথমত কারেন্ট পোকা প্রতিরোধী জাতের ধান আপনার ধান ক্ষেতে রোপণ করুন এতে আপনার ধানক্ষেত কারেন্ট পোকার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
- ধান ক্ষেতের আইল পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে চারা রোপন করতে হবে। ধানক্ষেতে ঘন করে চারা লাগানো যাবে না।
- যেহেতু স্যাঁতসেঁতে ও ভিজে মাটিতে এদের বংশ বৃদ্ধি বেশি হয়, তাই আক্রান্ত ধান ক্ষেতের পানি সরিয়ে সাত থেকে আট দিন শুকিয়ে রাখতে হবে।
- জমিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে অবশ্যই আপনাকে ইউরিয়া সার দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে ইউরিয়া সার বেশি প্রয়োগ করার না হয়।
- বাদামি ঘাস ফড়িংয়ে আক্রান্ত ধান ক্ষেতের দুই থেকে তিন হাত দূরে বিলি কেটে সূর্যের আলো বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা করতে হবে।
- ধান ক্ষেতে ঘাস ফড়িং এর আক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে যত দ্রুত সম্ভব কারেন্ট পোকা বা বালাইনাশক ধান ক্ষেতে স্প্রে করতে হবে।
এছাড়াও কারেন্ট পোকা বা বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণ থেকে আপনার ধান ক্ষেতকে রক্ষা করার প্রধান ও কার্যকরী উপায় হলো বালাই প্রতিরোধী জাতের ধান রোপন করা। যেমনঃ( ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-৩১, ব্রি ধান-৩৩, ব্রি ধান-৩৫, বিনা-৭) ইত্যাদি।
কারেন্ট পোকার ঔষধ সমূহ
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন কারেন্ট প্রকার ওষুধের নাম কি বা কারেন্ট প্রকার কার্যকরী ঔষধ কোনটি? চলুন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।
আপনার ধানক্ষেতে কারেন্ট পোকা দ্বারা আক্রান্ত হলে আপনি আপনার নিকটস্থ কীটনাশকের দোকান হতে ইনতেফা কোম্পানির সাবা সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়াও কারেন্ট পোকা বা বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণের ওপর লক্ষ্য রেখে জাদিদ ও তাকাত ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি এসব কীটনাশক আপনার নিকটস্থ কীটনাশক দোকান হতে সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে অন্য কোম্পানির পোকা নাশক ওষুধ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি আপনার ধান ক্ষেতের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
কারেন্ট পোকার ঔষধ কি সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
ধানের বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকা কৃষক ভাইদের জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ফসল নষ্ট হচ্ছে কারেন্ট পোকার আক্রমণের কারণে।তাই অসংখ্য কৃষক কার উপকার আক্রমণের কারণে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন
যদিও বর্তমানে বেশ কিছু বালাই প্রতিরোধী ধানের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে, যা কারেন্ট পোকার আক্রমণ কে প্রতিহত করতে পারে। এছাড়াও বর্তমানে বাজারে কারেন্ট পোকার ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে যার মাধ্যমে আপনার ধানের ক্ষেত কারেন্ট পোকা থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
আজকের আর্টিকেল এর প্রধান বিষয় হচ্ছে কারেন্ট প্রকার ঔষধ কি আপনি যদি কারেন্ট পোকার ঔষধ কি আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ে থাকেন, তাহলে আশা করি আপনি কারেন্ট পোকা প্রতিরোধে করণীয় কি এবং কারেন্ট পোকার ঔষধ কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবং এই আর্টিকেল থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি প্রতিদিন এইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন,তাহলে আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সলভ্ এ টু জেড এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url