কোন ধরনের গবাদি পশু কোরবানির উপযোগী-কোরবানির গরু কেমন হওয়া উচিত
আপনি কি কুরবানী করতে চাচ্ছেন, কিন্তু কোন ধরনের গবাদি পশু কোরবানির উপযোগী এবং গবাদি পশুর কোন খুঁত থাকলে কোরবানি হবে কিনা এর সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট ধারণা নেই?তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে।
আজকের আর্টিকেলে কোন ধরনের গবাদি পশু কোরবানির উপযোগী সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হয়েছে।পাশাপাশি কোন ধরনের গবাদি পশু কুরবানী করা জায়েজ এবং কত বছর বয়সে কোরবানি করা যাবে, এবং গরুর দাঁত না উঠলে কুরবানী করা যাবে কিনা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি কোন ধরনের গবাদি পশু কোরবানির উপযোগী এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ কোন ধরনের গবাদি পশু কোরবানির উপযোগী-কোরবানির গরু কেমন হওয়া উচিত
.
ভূমিকা
কুরবানী দেওয়ার সামর্থ্য থাকা ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব করা হয়েছে,তিন শ্রেণীর গবাদি পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ রয়েছে।যথাঃ
- ছাগল,দুম্বা ও ভেড়া
- গরু মহিষ
- উট
তবে এসব গবাদি পশুকে কোরবানি দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে,যে বয়সের নিচে এসব গবাদি পশুকে কোরবানি করা যাবে না। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার বয়স এক বছর হলে কুরবানী করা যাবে। তবে ভেড়া ছাগল বা দুম্বার বয়স যদি এক বছরের কম হয় এবং দেখতে যদি এক বছরের মনে হয় তাহলে উক্ত ভেড়া বা ছাগলকে কুরবানী দেওয়া জায়েজ রয়েছে।
অন্যদিকে গরু বা মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে, আমরা অনেক সময় কোরবানির পরশু করার সময় পশুর দাঁত ওঠা দেখে ক্রয় করি। এক্ষেত্রে গরুর দুই দাত উঠা গরু বয়স দুই বছর পরিপূর্ণ হওয়ার একটি আলামত। আপনার বাসায় যদি দুই বছরের গরু থেকে থাকে এবং তার দাঁত না উঠলেও সেই গরু দ্বারা কুরবানী করা জায়েজ রয়েছে।
কারণ গরু বা মহিষের ক্ষেত্রে দুই বছর পূর্ণ হওয়াটাই জরুরী। তবে অবশ্যই আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে উক্ত বয়স দুই বছর পূর্ণ হয়েছে, এক্ষেত্রে তার দাঁত উঠুক বা না উঠুক সেটা নিয়ে আপত্তি করার কিছুই নেই।
উট কুরবানী করলে উটের বয়স সর্বনিম্ন পাঁচ বছর হতে হবে। পাঁচ বছরের নিচে উট কে কোরবানি দেওয়া জায়েজ নয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কোরবানির গরু কেমন হওয়া উচিত
কোরবানি দিতে হবে ইসলামের শরিয়ত যে ধরনের পশু পছন্দ করে। উপরোক্ত ছয় প্রকার গৃহপালিত পশু দ্বারা কোরবানি দেওয়া জায়েজ রয়ছে। কুরবানীর পশু তরতাজা ও মোটা-তাজা হওয়া উত্তম। কোরবানির নিয়তে কেনা পশুর কোন খুঁত থাকলে, তা দ্বারা কুরবানী আদায় হবে না। যেমন লেজ বা কানের বেশি অংশ কাটা, গবাদি পশুর এক চোখ অন্ধ বা কানা, শিং ভাঙ্গা, পা খুড়িয়ে চলা বা ন্যাংড়া।
অর্থাৎ গবাদিপশুর এমন কোন খুঁত যার কারনে পশুটি কোরবানির উপযোগিতা কমে যায় বা হ্রাস পায়।
কোরবানির পশু কেমন হবে এর সম্পর্কে হযরত জাবের( রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সা.)বলেছেন, তোমরা চেষ্টা করবে কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট বয়সের পশু নির্বাচন করতে।আর যদি না পাও তাহলে ৬ মাসের দুম্বা কোরবানি করতে পারো( সহীহ মুসলিম)।বয়স কম কিন্তু মোটাতাজা ও কোরবানির উপযোগী গবাদি পশুকে কোরবানি দেওয়া জায়েজ রয়েছে।
কোন ধরনের গবাদি পশু কোরবানির উপযোগী-কোরবানির গরু কেমন হওয়া উচিত
কোরবানি ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক হওয়া উচিত। তাই ইসলামী শরীয়তের নির্দিষ্ট বেশ কিছু গবাদি পশুকে কোরবানি করা জায়েজ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সেসব গবাদি পশুর নির্দিষ্ট বয়স সীমা রয়েছে, যার নিচে কুরবানী করা যাবে না। আবার শুধুমাত্র বয়স হলে হবে না কোরবানির জন্য যেসব গবাদি পশু নির্বাচন করা হবে সেসব গবাদি পশু গুলো অবশ্যই নিখুঁত ও তরতাজা হতে হবে। এক্ষেত্রে লেজকাটা, শিং ভাঙ্গা, পা ভাঙ্গা , খুড়িয়ে চলা ইত্যাদি গবাদি পশুকে কোরবানি করা যাবে না।
সলভ্ এ টু জেড এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url