২০২৪ সালে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে কারা কারা থাকবেন
আজ বৃহস্পতিবার, ৮ ই আগস্ট ২০২৪। আপনারা সবাই জানেন,বর্তমানে বাংলাদেশের এই অরাজকতা পরিস্থিতি এড়াতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন করতে চেয়েছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। আপনাদের মধ্য অনেকেই জানে না অন্তবর্তীকালীন সরকার কাকে বলে।
আজকের আর্টিকেলটি মূলত তাদের উদ্দেশ্যে লেখা, আজকের আর্টিকেলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কারা কারা থাকছেন,সে বিষয়টি ছাড়াও অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাজ কি? এবং দেশ পূর্ণ গঠনে এর ভূমিকায় বা কতটুকু। অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি তাদের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন না করতে পারে,
তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে, সে সম্পর্কে আজকে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ২০২৪ সালে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে কারা কারা থাকবেন
.
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন
অন্তবর্তীকালীন সরকার (Interim Government) হলো একটি অস্থায়ী সরকার যা সাধারণত কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থায়ী হয়, বিশেষ করে যখন একটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের মধ্যে থাকে।
এটি সাধারণত নির্বাচনের আগে বা পরে, কিংবা একটি সংকটপূর্ণ সময়ে কাজ করে যখন একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। অন্তবর্তীকালীন সরকার সাধারণত নিরপেক্ষ থাকে এবং তার প্রধান কাজ হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা। এই ধরনের সরকার অস্থায়ী হলেও তার দায়িত্ব গুরুতর, কারণ এর কাজ দেশের ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ইতিহাস
বাংলাদেশে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ধারণা বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য এ ধরনের সরকারের প্রয়োজনীয়তা জোরালোভাবে উত্থাপিত হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রথমবারের মতো গঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে, যখন সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন দেখা দেয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের সরকার গঠন করা হয়েছে, বিশেষ করে সাধারণ নির্বাচনের আগে, যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট কমানো যায় এবং ভোটারদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হলো একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এই ধরনের সরকার সাধারণত রাজনৈতিক দল থেকে পৃথক থাকে এবং প্রধানত প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনা করে। তারা নির্বাচন কমিশনকে সমর্থন প্রদান করে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে।
তবে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনার পর, অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধারণা বাতিল করা হয়, এবং সেই থেকে বর্তমান সরকারই নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে এবং অনেকেই মনে করেন যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো প্রয়োজন যাতে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা যায়।
সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়, যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ২০২৪
বাংলাদেশ ২০২৪ সালের নির্বাচনকে ঘিরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়টি আবার ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। দেশটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি এক জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যা জনগণের আস্থা ও দেশের স্থিতিশীলতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিরোধী দলগুলোর দাবির মধ্যে অন্যতম প্রধান দাবি হলো একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, যা নির্বাচনকালীন সময়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে। এই দাবি বিশেষত সেই প্রেক্ষাপটে তীব্র হয়ে উঠেছে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ করছে।
অন্যদিকে, বর্তমান সরকার দাবি করছে যে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারই নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করবে। তারা বিশ্বাস করে, এই ব্যবস্থা দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। তবে, বিরোধী দলের অভিযোগ হলো, ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না, যা গণতন্ত্রের মৌলিক নীতির পরিপন্থী।
এই প্রেক্ষাপটে, জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। একদল মানুষ বিশ্বাস করে যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করেন যে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা পাবে।
সুতরাং, ২০২৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সম্ভাবনা এবং তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে। এ পরিস্থিতি কীভাবে সমাধান হবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ, জনগণের ইচ্ছা, এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিবেশের ওপর।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে কারা কারা থাকবেন সে সম্পর্কে ধারণা
২০২৪ সালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে, তবে নির্দিষ্টভাবে কারা এর অংশ হতে পারেন তা নির্ধারণ করা এখনো কঠিন। সাধারণত, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়:
সর্বজনস্বীকৃত ব্যক্তিত্ব: এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্য। তারা প্রায় রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে থেকে আসেন এবং নিরপেক্ষ হিসেবে বিবেচিত হন।
প্রাক্তন বিচারপতি বা উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা: অতীতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের নিয়োগ প্রায় নিরপেক্ষতা এবং ন্যায়বিচারের ধারণা জোরদার করার উদ্দেশ্যে করা হয়।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা: কিছু ক্ষেত্রে, সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশ করা হতে পারে, যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক মান বজায় থাকে।
সাবেক মন্ত্রী ও প্রশাসকরা: যারা অতীতে সরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনের সাথে সরাসরি যুক্ত নন, এমন ব্যক্তি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশ হতে পারেন।
তবে, ২০২৪ সালে আসলে কারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশ হবেন তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা, এবং সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালার ওপর। এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে সম্ভাব্য ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখিত ধরনের প্রোফাইল থাকা ব্যক্তিরা সাধারণত প্রাধান্য পেতে পারেন।
২০২৪ এ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের যারা থাকছেন এবং অন্তবর্তী কালীন সরকার হিসেবে শপথ গ্রহণ করছেন
২০২৪ সালে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকছেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলী একদিকে বিচিত্র, অন্যদিকে প্রভাবশালী ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ এবং স্বনামধন্য ব্যক্তিরা, যারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে ব্যাপক প্রভাব ফেলে চলেছেন।
প্রথমেই রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, যার আর্থিক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দেশের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারপর আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাজ্ঞ অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, তিনি দেশের আইনি কাঠামো এবং মানবাধিকার নিয়ে তার কঠোর অবস্থানের জন্য সুপরিচিত।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, যিনি মানবাধিকার রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি রয়েছেন এই তালিকায়। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, যার অভিজ্ঞতা ও পাণ্ডিত্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে, সেই মণ্ডলীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এছাড়া, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যারা যথাক্রমে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদান রেখেছেন, তারাও এই উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন।
এই মণ্ডলীর আরেকজন উল্লেখযোগ্য সদস্য হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, যার নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি সুদৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। অন্যদিকে, বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার এবং গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নূর জাহান বেগম, যারা সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের অন্তর্ভুক্তি এই মণ্ডলীতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আরো রয়েছেন বেসরকারি সংস্থা ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ, যিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, এবং ইসলামী চিন্তাবিদ আ ফ ম খালিদ হাসান, যার চিন্তাভাবনা ও দিকনির্দেশনা ধর্মীয় বিষয়ে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
তাছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, যারা ছাত্রদের অধিকার রক্ষায় তৎপর, তাদের অন্তর্ভুক্তি মণ্ডলীতে এক নতুন প্রজন্মের ভাবনা নিয়ে আসছে। সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, যারা বিভিন্ন সময়ে দেশের সেবায় নিজস্ব ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন, তাদের উপস্থিতি মণ্ডলীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সবশেষে রয়েছেন বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম, যার সাহসী নেতৃত্ব ও অবদান দেশের মানুষের মনে অমর হয়ে আছে। এই মণ্ডলীর সকল সদস্য মিলে এক অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বিচিত্র দল গঠন করেছেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে দেশের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে প্রস্তুত।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে কারা কারা থাকবেন সে সম্পর্কে লেখক এর কিছু কথা
অন্তবর্তী কালীন সরকার সাধারণত বেশি দিন স্থায়ী হয় না। সর্বোচ্চ তিন থেকে নয় মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে এ স্বল্প সময় স্থায়ী হলেও অন্তবর্তী সরকারের কাজ কিন্তু স্থায়ী সরকারের তুলনায় কোন অংশে কম নয়। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাজকর্মের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ সরকারের কার্যনীতি।
অর্থাৎ অন্তবর্তী কালীন সরকার একটি দেশের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একমাত্র অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ই পারে একটি দেশের সকল দুর্নীতির অবকাঠামোকে দূর করে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে।তবে এই কাজে তারা যদি ব্যর্থ হয়,তাহলে এর পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে,যা একটি জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আপনি যদি আজকের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন, তাহলে আশা করি ২০২৪ সালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে কারা কারা থাকছেন। সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জেনেছেন পাশাপাশি একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কি কি কাজ রয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি রকম হওয়া দরকার, তার রূপরেখা সম্পর্কে আপনার সুস্পষ্ট ধারণা হয়েছে।
আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। পাশাপাশি আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে তা কমেন্ট সেকশনে গিয়ে জানিয়ে দিন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সলভ্ এ টু জেড এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url